নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পুরো দেশ যখন স্বাস্থ্যখাত নিয়ে উত্তাল, টালমাটাল হয়ে রয়েছে অণ্যদিকে বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের অবস্থা করুন দশায় পরিনত হয়ে উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা মাহামুদা বেগম এখন অল ইন অল। তার দাপটেই চলছে গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র। তাঁর একক ক্ষমতায় ঔষধ পোড়ানো, ঔষধ ধ্বংস সবই তিনি করে থাকেন। লাগেনা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি। বিপুল পরিমান ঔষধ এখন যেখানে সেখানে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে অসহায় পড়ে থাকার দৃশ্য ভুক্তভোগীরা দেখছেন। সরেজমিনে গেলে কেন্দ্রে গেলে এধরনেসর দৃশ্য প্রমান সহ চোখের নজরে পড়ে। ঘরে বাইরে যেখানে সেখানে পড়ে আছে সরকারি ঔষধ। কোনটা পোড়ানো, কোনটা অর্ধেক পোড়ানো রয়েছে। এ বিষয় কথা হয় হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ডাঃ দেলোয়ার হোসেন খোকন এর সাথে, তিনি জানান,বর্তমানে ইউনিয়ন পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা মাহামুদা বেগম চার্জে রয়েছেন, তার মন্তব্য নেই। বর্তমানে অফিসিয়াল দায়িত্বে রয়েছেন ডাঃ সোলাইমান মাসুম, তার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ঐ কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন ঋডঠ মাহমুদা বেগম। এ বিষয় তার ধারণা নেই। বিষয়টির খোজ নিচ্ছেন। পরিবার পরিদর্শিকা (ঋডঠ) মাহমুদা বেগম জানান, তিনি উপজেলা অফিসে কাজ থাকাতে কেন্দ্রে যেতে পারেননি। পুরাতন বিল্ডিংএর কারণে মালামালগুলো এলোমেলো রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন অর রশিদ জানান, এ বিষয়ে তার কোন ভুমিকা নেই। বিষয়টি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের। সেখানে এগুলো দেখভালের জন্য নির্ধারিত ডাক্তার রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসি জানায়, মাহমুদা এখানে অনেকদিন কাজ করার কারণে তিনি এখানকার সর্বেসর্বা। ঔষধ গ্রহণ বিতরণ, কালোবাজারে বিক্রি, তার একক ক্ষমতা। এ বিষয় লিখে লাভ কী।
চরফ্যাসনে ঝড়ে ঘরচাপায় দুই সন্তানসহ মা নিহত
চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের চর মানিকা ইউনিয়নের চর কচ্ছপিয়া গ্রামে ঝড়ে ঘরচাপা পড়ে ঘরের অবস্থানরত তিনজনের সকলে নিহত হয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন মা রিংকু বেগম(২৩) এবং দুই ছেলে জুনায়েদ (৭) ও তানজিদ (৫) । মঙ্গলবার মধ্যরাতে দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের হানিফ পাটওয়ারীর বাড়িতে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশী রাবেয়া জানান, রাত ১১ থেকে ১২টার মধ্যে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি হয়। ওই ঝড়ে প্রতিবেশী পরিবারটি নিঃশেষ হওয়ার কথা কারো জানা ছিল না। ফযরের নামাজের ওযু করতে ঘাটলায় গিয়ে পুকুরের মধ্যে টিনের চালা ভাসতে দেখেন। তারপরই প্রতিবেশী হানিফ পাটওয়ারীর ভিটায় ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্য প্রথম নজরে আসে। ডাক চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও। প্রতিবেশী আলী হোসেন ফরাজি জানান,প্রথম দিকে সবার ধারনা ছিল বিধ্বস্ত ঘরের নীচে মা ও ছেলেরা চাপাপড়ে আছেন। দ্রুত সবাই বিধ্বস্ত ঘর সরানোর জন্য তৎপরতা শুরু করেন। কিন্ত বিধ্বস্ত টিনের চালা সরাতেই খাটের উপর মৃত মায়ের বাহুবদ্ধ দুই ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়া হয়। দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইন চার্জ হারুন অর রশিদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে গেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, শোকাহত হানিফ পাটওয়ারীর পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে এবং বিধ্বস্তঘরটি মেরামত করে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হানিফ পাটওয়ারী চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচা থানার ঢালচর ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। মেঘনার ভাঙ্গনে ভিটেবাড়ি হারিয়ে ৫ মাস আগে দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া গ্রামে ৭ গন্ডা জমি ক্রয় করে টিনের ঘর তোলেন। ওই ঘরটি চাপাপড়ে তার স্ত্রী-সন্তানরা মারা যান। দূর্ঘটনার সময় হানিফ পাটওয়ারী ঘরে ছিলেন না। তিনি ৫ দিন আগে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে ঢালচর যান। সেখানে তার কিছু চাষবাস ছিল।
Leave a Reply